ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুব সমাজকে ক্ষমতায়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করতে হবে’

শফিকুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১০:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫ ১৩১ বার পড়া হয়েছে

আজ ১২ই আগস্ট, আন্তর্জাতিক যুব দিবস। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য “প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি” যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সকলের সমন্বয়ে একটি সুন্দর কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করা এবং যুবকদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা পৃথক বাণী দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বাণীতে বলেছেন, “দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি হলো যুবসমাজ। তাদের মেধা, উদ্ভাবনী শক্তি এবং কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যেতে পারি।” তিনি যুবকদের পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও পেশা গ্রহণের আহ্বান জানান।

দিবসটি উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সেমিনার, আলোচনা সভা, কর্মশালা এবং যুবকদের উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রদর্শনী। এসব আয়োজনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি, নবায়নযোগ্য শক্তি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যুবকদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের তরুণদের একটি বড় অংশ এখনও বেকার। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হলে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। পাশাপাশি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে যুবকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবেশ রক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে যুবকদের যুক্ত করা গেলে তা দেশের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকার যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যুবক। তাই, যুব সমাজকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে বলে তারা আশাবাদী।

আন্তর্জাতিক যুব দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে যুব সমাজের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ক্ষমতায়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করাই এখন সময়ের দাবি।

 

ট্যাগস :

যুব সমাজকে ক্ষমতায়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করতে হবে’

আপডেট সময় : ১০:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫

আজ ১২ই আগস্ট, আন্তর্জাতিক যুব দিবস। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। এবারের প্রতিপাদ্য “প্রযুক্তি নির্ভর যুবশক্তি বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্বে অগ্রগতি” যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে সকলের সমন্বয়ে একটি সুন্দর কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করা এবং যুবকদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা পৃথক বাণী দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বাণীতে বলেছেন, “দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি হলো যুবসমাজ। তাদের মেধা, উদ্ভাবনী শক্তি এবং কর্মদক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যেতে পারি।” তিনি যুবকদের পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও পেশা গ্রহণের আহ্বান জানান।

দিবসটি উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা নানা ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সেমিনার, আলোচনা সভা, কর্মশালা এবং যুবকদের উদ্ভাবনী প্রকল্প প্রদর্শনী। এসব আয়োজনে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি নির্ভর কৃষি, নবায়নযোগ্য শক্তি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় যুবকদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের তরুণদের একটি বড় অংশ এখনও বেকার। তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হলে যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। পাশাপাশি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে যুবকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পরিবেশ রক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে যুবকদের যুক্ত করা গেলে তা দেশের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সরকার যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে আরও নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ যুবক। তাই, যুব সমাজকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে বলে তারা আশাবাদী।

আন্তর্জাতিক যুব দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গঠনে যুব সমাজের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তাদের ক্ষমতায়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করাই এখন সময়ের দাবি।