গাছ পরিবেশের বন্ধু
- আপডেট সময় : ১২:৪৭:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫ ১৯৬ বার পড়া হয়েছে
গাছ প্রকৃতির নিঃশব্দ প্রহরী।গাছ আমাদের পরিবেশের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এরা শুধু সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং নিঃশব্দে আমাদের চারপাশের পরিবেশকে রক্ষা করে। গাছকে বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর বেঁচে থাকার জন্য যে অক্সিজেন প্রয়োজন, তা গাছই সরবরাহ করে। কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো ক্ষতিকর গ্যাস শোষণ করে গাছ বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখে। এভাবেই গাছ আমাদের সুস্থ জীবন নিশ্চিত করে।
গাছের বহুবিধ উপকারিতা আছে।গাছ আমাদের বিভিন্নভাবে উপকার করে থাকে। সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকে গাছ আমাদের রক্ষা করে। গাছের পাতা, ডাল, এবং শিকড় বৃষ্টির পানি আটকে রেখে মাটির ক্ষয় রোধ করে। এর ফলে বন্যা ও ভূমিধসের ঝুঁকি কমে যায়। গাছ প্রচুর পরিমাণে পানি ধরে রাখে, যা মাটির নিচে জমা হয়ে ভূগর্ভস্থ পানির স্তরকে উন্নত করে।
গাছ অনেক পশুপাখির আশ্রয়স্থল। পাখির বাসা, কাঠবিড়ালির আবাস, বা পোকামাকড়ের আশ্রয়—সবই গাছের ডালে দেখা যায়। এভাবে গাছ জীববৈচিত্র্য রক্ষা করে।
এছাড়াও, গাছ পরিবেশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। গ্রীষ্মকালে গাছের নিচে তাপমাত্রা কম থাকে। গাছ থেকে উৎপন্ন বাষ্প বায়ুমণ্ডলকে শীতল রাখে। শীতকালে গাছের পাতা ঝরে গেলেও এর ডালপালা সূর্যের তাপ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
গাছ না থাকলে কী হতো?যদি পৃথিবীতে গাছ না থাকত, তবে আমাদের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ত। বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যেত, যা শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বিপজ্জনক। তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেত, ফলে মরুভূমি সৃষ্টি হতো এবং মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যেত। এর ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়ে যেত এবং উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলো প্লাবিত হতো। মাটির ক্ষয় ও ভূমিধসের কারণে বন্যা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করত।
গাছ শুধু প্রাকৃতিক ভারসাম্যই রক্ষা করে না, বরং এটি আমাদের জীবনের ভিত্তি। তাই, গাছ লাগানো আমাদের সবার দায়িত্ব। প্রতিটি গাছ আমাদের পরিবেশের জন্য এক মূল্যবান সম্পদ। এজন্য বেশি বেশি করে গাছ লাগিয়ে পরিবেশকে রক্ষা করি।










